Monday, April 22, 2013

প্রাণের উচ্ছাস আর সুরের মুর্ছনায় বড়লেখায় বর্ষবরণ

বড়লেখা প্রতিনিধি:-
বাঙালির এতিহ্য এবং সংস্কৃতি আবহমানকাল
থেকে বাঙালির জীবনাচরণের মধ্য
দিয়ে প্রবাহিত । প্রবাহমান
ধারায় নানা লোকাচার
উৎসবে প্রাণ পেয়ে সমৃদ্ধ
হয়েছে বাঙালির কৃষ্টি। তার চুড়ান্ত রূপ প্রকাশ
পেয়েছে পহেলা বৈশাখ নববর্ষ
উদযাপন উৎসবের মধ্য দিয়ে। এরই
ধারাবাহিকতায় প্রাণের উচ্ছ¡াস
আর সুরের মুর্ছনায় ১৪২০ বাংলার
নতুন বছরকে বরণ করে নিল বড়লেখাবাসী।
দিনটি উপলক্ষ্যে নানা
আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন
করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক,সামাজিক
ও পেশাজীবি সংগঠন। স্থানীয়
বড়লেখা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উপজেলা প্রশাসনের
সার্বিক ব্যাবস্থাপনায় নজরুল
একাডেমী বর্ষবরণের অনুষ্ঠান মঞ্চ
তৈরী করে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য
দিয়ে নজরুল একাডেমী নতুন
বছরকে বরণ করে নেয়। বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে দিনব্যাপি নানা
সাংস্কৃতিক অনুষ্টানের আয়োজন
করে নজরুল একাডেমী । অনুষ্টানের
উদ্ভোধন করেন স্থানীয় সংসদ
সদস্য আলহাজ শাহাব উদ্দিন।
র্যালি পূর্ববর্তী আলোচনা সভায় নজরুল একাডেমীর সভাপতি শিক্ষক
দিপক নন্দির সভাপতিত্বে ও
উপদেষ্টা কাউন্সিলার তাজ
উদ্দিনের উপস্থাপনায় প্রধান
অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয়
সংসদ সদস্য আলহাজ শাহাব উদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য
রাখেন
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ
মোহাম্মদ আমিনুর রহমান।
সকাল ১০টায় নজরুল
একাডেমী শহরে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে।
র্যালিতে নের্তৃত্ব দেন স্থানীয়
সংসদ সদস্য আলহাজ শাহাব উদ্দিন,
এসময় উপস্থিত ছিলেন
উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজ
উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ
মোহাম্মদ আমিনুর
রহমান,এপিপি গোপাল দত্ত,সদর
ইউপি চেয়ারম্যান সুয়েব আহমদ,
বড়লেখা ডিগ্রী কলেজের
বাংলা বিভাগের প্রভাষক নিয়াজ উদ্দিন, ডা: দিগেন্দ্র দেবনাথ,
উপজেলা আওয়ামীলীগের
সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল
লতিফ,আওয়ামীলীগ নেতা নিয়াজ
উদ্দিন ,পৌর ছাত্রলীগ
সভাপতি জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ
বড়লেখা প্রতিনিধি:-
বাঙালির এতিহ্য এবং সংস্কৃতি আবহমানকাল
থেকে বাঙালির জীবনাচরণের মধ্য
দিয়ে প্রবাহিত । প্রবাহমান
ধারায় নানা লোকাচার
উৎসবে প্রাণ পেয়ে সমৃদ্ধ
হয়েছে বাঙালির কৃষ্টি। তার চুড়ান্ত রূপ প্রকাশ
পেয়েছে পহেলা বৈশাখ নববর্ষ
উদযাপন উৎসবের মধ্য দিয়ে। এরই
ধারাবাহিকতায় প্রাণের উচ্ছ¡াস
আর সুরের মুর্ছনায় ১৪২০ বাংলার
নতুন বছরকে বরণ করে নিল বড়লেখাবাসী।
দিনটি উপলক্ষ্যে নানা
আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন
করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক,সামাজিক
ও পেশাজীবি সংগঠন। স্থানীয়
বড়লেখা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উপজেলা প্রশাসনের
সার্বিক ব্যাবস্থাপনায় নজরুল
একাডেমী বর্ষবরণের অনুষ্ঠান মঞ্চ
তৈরী করে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য
দিয়ে নজরুল একাডেমী নতুন
বছরকে বরণ করে নেয়। বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে দিনব্যাপি নানা
সাংস্কৃতিক অনুষ্টানের আয়োজন
করে নজরুল একাডেমী । অনুষ্টানের
উদ্ভোধন করেন স্থানীয় সংসদ
সদস্য আলহাজ শাহাব উদ্দিন।
র্যালি পূর্ববর্তী আলোচনা সভায় নজরুল একাডেমীর সভাপতি শিক্ষক
দিপক নন্দির সভাপতিত্বে ও
উপদেষ্টা কাউন্সিলার তাজ
উদ্দিনের উপস্থাপনায় প্রধান
অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয়
সংসদ সদস্য আলহাজ শাহাব উদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য
রাখেন
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ
মোহাম্মদ আমিনুর রহমান।
সকাল ১০টায় নজরুল
একাডেমী শহরে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে।
র্যালিতে নের্তৃত্ব দেন স্থানীয়
সংসদ সদস্য আলহাজ শাহাব উদ্দিন,
এসময় উপস্থিত ছিলেন
উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজ
উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ
মোহাম্মদ আমিনুর
রহমান,এপিপি গোপাল দত্ত,সদর
ইউপি চেয়ারম্যান সুয়েব আহমদ,
বড়লেখা ডিগ্রী কলেজের
বাংলা বিভাগের প্রভাষক নিয়াজ উদ্দিন, ডা: দিগেন্দ্র দেবনাথ,
উপজেলা আওয়ামীলীগের
সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল
লতিফ,আওয়ামীলীগ নেতা নিয়াজ
উদ্দিন ,পৌর ছাত্রলীগ
সভাপতি জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ
বড়লেখা প্রতিনিধি:-
বাঙালির এতিহ্য এবং সংস্কৃতি আবহমানকাল
থেকে বাঙালির জীবনাচরণের মধ্য
দিয়ে প্রবাহিত । প্রবাহমান
ধারায় নানা লোকাচার
উৎসবে প্রাণ পেয়ে সমৃদ্ধ
হয়েছে বাঙালির কৃষ্টি। তার চুড়ান্ত রূপ প্রকাশ
পেয়েছে পহেলা বৈশাখ নববর্ষ
উদযাপন উৎসবের মধ্য দিয়ে। এরই
ধারাবাহিকতায় প্রাণের উচ্ছ¡াস
আর সুরের মুর্ছনায় ১৪২০ বাংলার
নতুন বছরকে বরণ করে নিল বড়লেখাবাসী।
দিনটি উপলক্ষ্যে নানা
আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন
করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক,সামাজিক
ও পেশাজীবি সংগঠন। স্থানীয়
বড়লেখা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উপজেলা প্রশাসনের
সার্বিক ব্যাবস্থাপনায় নজরুল
একাডেমী বর্ষবরণের অনুষ্ঠান মঞ্চ
তৈরী করে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য
দিয়ে নজরুল একাডেমী নতুন
বছরকে বরণ করে নেয়। বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে দিনব্যাপি নানা
সাংস্কৃতিক অনুষ্টানের আয়োজন
করে নজরুল একাডেমী । অনুষ্টানের
উদ্ভোধন করেন স্থানীয় সংসদ
সদস্য আলহাজ শাহাব উদ্দিন।
র্যালি পূর্ববর্তী আলোচনা সভায় নজরুল একাডেমীর সভাপতি শিক্ষক
দিপক নন্দির সভাপতিত্বে ও
উপদেষ্টা কাউন্সিলার তাজ
উদ্দিনের উপস্থাপনায় প্রধান
অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয়
সংসদ সদস্য আলহাজ শাহাব উদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য
রাখেন
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ
মোহাম্মদ আমিনুর রহমান।
সকাল ১০টায় নজরুল
একাডেমী শহরে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে।
র্যালিতে নের্তৃত্ব দেন স্থানীয়
সংসদ সদস্য আলহাজ শাহাব উদ্দিন,
এসময় উপস্থিত ছিলেন
উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজ
উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ
মোহাম্মদ আমিনুর
রহমান,এপিপি গোপাল দত্ত,সদর
ইউপি চেয়ারম্যান সুয়েব আহমদ,
বড়লেখা ডিগ্রী কলেজের
বাংলা বিভাগের প্রভাষক নিয়াজ উদ্দিন, ডা: দিগেন্দ্র দেবনাথ,
উপজেলা আওয়ামীলীগের
সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল
লতিফ,আওয়ামীলীগ নেতা নিয়াজ
উদ্দিন ,পৌর ছাত্রলীগ
সভাপতি জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ

জুড়ীতে নানা আয়োজনে নববর্ষ উদযাপন

জুড়ী সংবাদাতা:-
পুরাতনকে পিছনে ফেলে, নতুনের কেতন উড়িয়ে, দুর্নীতিমুক্ত, সুখী- সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করার মধ্য দিয়েই সারা দেশের ন্যায় জুড়ীতেও বিশাল বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পহেলা বৈশাখ ১৪২০ বাংলা ‘শুভ নববর্ষ’ উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহন করে। সকাল ৮ ঘটিকায় সম্মিলিত উদ্যোগে বিশাল
র্যালী বের হয়। উক্ত র্যালীতে প্রশাসনের পাশাপাশি ঢাক-ঢোল, বাদ্য বাজিয়ে নানান সাজে সজ্জিত হয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের
শিক্ষার্থীসহ সর্বস্থরের লোকজন অংশ গ্রহন করে। র্যালীতে অংশ গ্রহনকারীরা তাঁদের নিজস্ব ধারণায় আবহমান বাংলার চিরায়ত
সংস্কৃতির চিত্র ফুটিয়ে তুলে। র্যালীটি সমগ্র শহর প্রদক্ষিণ করে জুড়ী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে এক অনুষ্টানে প্রশাসনের বিভিন্ন স্থরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক- শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সেখানে পান্তা খাওয়ার প্রতিযোগিতা শেষে আলোচনা সভা ও
সাংস্কৃতিক অনুষ্টানে গান পরিবেশন করা হয়। মোঘল সম্রাট আকবর খাজনা আদায় ও ফসল উৎপাদনের সুবিধার্থে বাংলা সনের প্রবর্তন করেন।
পরবর্তীতে ব্যবসায়ীরা তাঁদের ব্যবসার সুবিধার্থে বাংলা সনের প্রথম দিন ‘পহেলা বৈশাখ’ দিনটিকে যথাযথ মর্যাদার সহিত উদযাপন করে থাকেন। পুরণো বছরের লেনদেন পরিশোধ করে নতুন খাতা শুরু করার লক্ষ্যে এ দিনটিকে ব্যবসায়ীরা “শুভ হালখাতা” হিসেবে উদযাপন করে থাকেন।

কুলাউড়ায় বর্ষবরণকে ঘিরে নানা প্রস্তুতি

কুলাউড়া সংবাদাতা:-
আজ ১৪ এপ্রিল রোববার পয়লা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ ১৪২০।ওয়া সবত্র- ছাত্রী, সামাজিক-সাংস্কৃতিক- রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা এবং পেশাজীবীদের অংশগ্রহনে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হবে সকাল ১০টায়
শোভাযাত্রাটি কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের
সম্মুখ থেকে বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ
করবে এবং ডাকবাংলো প্রাঙ্গণের ঐতিহাসিক শিরিষতলায় এসে মিলিত হবে। পরে সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা চলবে। এদিকে ওই কর্মসূচিকে সামনে রেখে উপজেলা প্রশাসনের
উদ্যোগে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শামছুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসিনা ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান আ স ম কামরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভূকশিমইল ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনুসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিশিষ্টজন, সাংবাদিকসহ ক্লাব- সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বর্ষবরণকে ঘিরে বিভিন্ন
ক্লাব ও সংগঠনের পক্ষ থেকে বৈশাখী মেলাসহ নানা কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া কাদিপুর ইউনিয়নে ৩ দিন ব্যাপী বৈশাখী মেলা গতকাল ১৩ এপ্রিল শনিবার থেকে শুরু হয়েছে। পৃথিমপাশা ইউনিয়নের রবিরবাজারে দুই দিনব্যাপী বৈশাখী উৎসব অনুষ্ঠিত
হবে। দুই দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ১ বৈশাখ আনন্দ শুভাযাত্রা, খেলাধুলা, প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুঁথিপাঠের আসর, মণিপুরী নৃত্য ও বাউল গান। ২ বৈশাখ সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নওয়াব আলী আব্বাছ খান এমপি। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন ক্লোজআপ ওয়ান তারকা রানা পপি চৌধুরী, কাকলী প্রমুখ। এতে সবার উপস্থিতি ও সহযোগিতা কামনা করেছে বর্ষবরণ
উদ্যাপন কমিটি।

শ্রীমঙ্গলে এমপির জিপ-বাস সংঘর্ষে নিহত ২

জেলা সংবাদদাতা-   মৌলভীবাজার সদরের সংসদ সদস্য (এমপি) মোহসীন আলীর পাজেরো জিপের সঙ্গে যাত্রীবাহী একটি বাসের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন।
শনিবার সকাল ১১টার দিকে শ্রীমঙ্গলের ভৈরবগঞ্জ বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখান এলাকার হাজী আনছার আলী (৮৫) ও এমপির জিপের চালক হোসেন মিয়া (২৫)। তিনি একই এলাকার বুনবীর গ্রামের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঢাকা- সিলেট মহাসড়কে ভৈরবগঞ্জ বাজারে হবিগঞ্জগামী যাত্রীবাহী একটি বাসের সঙ্গে এমপি মোহসীনের পাজেরো জিপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই আনছার আলী ও জিপচালক হোসেন মিয়া নিহত হন।
দুর্ঘটনার সময় এমপি মোহসীন তার পাজেরো গাড়িতে ছিলেন না।
মৌলভীবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

বিদায় বঙ্গাব্দ ১৪১৯


সময় প্রবাহমান। নদীর স্রোতের মতো সময়ও কখনো থেমে থাকে না। বয়ে চলে আপন গতিতে। সময়ের এই প্রবাহমানতায় আজ থেকে মহাকালের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাচ্ছে আরেকটি বাংলা বছর।
বঙ্গাব্দ ১৪১৯। আজ শনিবার, ৩০ চৈত্র, ১৪১৯ বঙ্গাব্দের শেষ দিন। আজ চৈত্র সংক্রান্তি। ‘জীর্ণ পুরাতন যাক ভেসে যাক, মুছে যাক গ্লানি….’ বিদায়ী সূর্যের কাছে এ প্রণতি আজ জানাবে বাঙালি। আগামীকাল পূর্বদিগন্ত থেকে ছুটে আসা ভোরের নরম আলো রাঙিয়ে দেবে পৃথিবী, স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনায় সূচিত হবে নতুন বছর। বাংলা বছরের সমাপনী মাস চৈত্রের শেষ দিনটিকে ‘চৈত্র সংক্রান্তি’ বলা হয়। লৌকিক
আচার অনুযায়ী এ দিনে বিদায় উৎসব পালন করে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়। দোকানপাট ধুয়ে-মুছে বিগত বছরের যত সব জঞ্জাল, অশুচিতাকে বিদূরিত করা হয়। পরদিনই খোলা হবে ব্যবসায়িক হিসাব-নিকাশের নতুন খাতা। সে উৎসবের লোকায়ত নাম ‘হালখাতা’। ওই উৎসবে নিকোনো পরিচ্ছন্ন বিপণী অঙ্গন, ধূপ ধূনোর সুগন্ধি ভারি করে রাখে ঘরের পরিবেশ। তদুপরি অভ্যাগত এলেই গোলাপ পানির ছড়ি ছিটানোয় তার অভ্যর্থনা। সারা বছরের খরিদ্দারদের
কাছে বকেয়া টাকা তুলতে বছরের
এই দিনটিকে অন্তর্ভুক্ত করে নেয়ার রেওয়াজ কত শত বছরের তা রীতিমতো গবেষণার বিষয়।
এ ছাড়াও চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন
প্রান্তে বসেছে মেলা। বাংলা পিডিয়া সূত্রে জানা গেছে,
অতীতে চৈত্র সংক্রান্তি মেলা উপলক্ষে গ্রামাঞ্চলের
গৃহস্থরা নাতি-নাতনিসহ মেয়ে জামাইকে সমাদর করে বাড়ি নিয়ে আসত। গৃহস্থরা সবাইকে নতুন জামা- কাপড় দিত এবং উন্নত মানের খাওয়া-দাওয়ারও আয়োজন করত।
মেলার কয়েকদিন এভাবে সবাই আনন্দ উপভোগ করত। বর্তমানে শহুরে সভ্যতার ছোঁয়া লাগায় আবহমান গ্রামবাংলার সেই আনন্দমুখর পরিবেশ আর আগের মতো নেই। তবে এখন শহরাঞ্চলের নগর সংস্কৃতির আমেজে চৈত্র সংক্রান্তি উৎসবে মেলা বসে, যা এক সর্বজনীন মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।
সনাতন মতে, বাংলা মাসের শেষ দিনে শাস্ত্র ও লোকাচার অনুসারে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস
প্রভৃতি ক্রিয়াকর্মকে পুণ্যের
কাজ বলে মনে করা হয়। গ্রীষ্মের প্রচ- দাবদাহে উদ্বিগ্ন কৃষককুল নিজেদের বাঁচার তাগিদে বর্ষার আগমন দ্রুত হোক, এই প্রণতি জানাতেই চৈত্র মাসজুড়ে উৎসবের মধ্যে সূর্যের কৃপা প্রার্থনা করে। এখন সূর্য তার রুদ্ররূপে প্রতিভাত। তাই চৈত্র
সংক্রান্তিতে নানা উপাচারের নৈবেদ্য দিয়ে তাকে তুষ্ট করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
নানা আয়োজনে আজ যখন চৈত্র সংক্রান্তির পার্বণ, তখন একই সঙ্গে দুয়ারে কড়া নাড়ছে বাঙালির
সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব পহেলা বৈশাখ। আজ শনিবার রাত পোহালেই কাল নতুন দিন। শুধু নতুন দিনই নয়, একই সঙ্গে নতুন বছরও। নতুন বছর ১৪২০-কে স্বাগত জানাতে পুরো বাংলাদেশ এখন উন্মুখ। পুরো দেশ যেন এখন পরিণত হয়েছে এক উৎসবমুখর দেশে। বৈশাখকে বরণ করার জন্য সবখানেই এখন চলছে সাজগোজ আর ধোয়া-মোছা। নববর্ষের নানা আয়োজনে ব্যস্ত এখন উৎসবপ্রেমীরা। আর সব প্রস্তুতিই এখন শেষ পর্যায়ে।
চৈত্র সংক্রান্তি ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন
প্রান্তে বসেছে বৈশাখীমেলা। আর এসব মেলায় থাকবে নানা ধরনের পিঠাপুলি আর হাওয়াই মিঠাই। পুরনো ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা মিলল লাল মলাটের হালখাতা নিয়ে নতুন বছরের অপেক্ষায় ব্যবসায়ীরা। পুরনো বছরের হিসাব-নিকাশ
ঘুচিয়ে ফেলে ক্রেতার সঙ্গে নতুন সম্পর্ক তৈরি করবে মিষ্টিমুখ করে। তাঁতি বাজারের স্বর্ণকার নির্মাতা বর্ধন কর্মকারহ্যালো-
টুডে ডটকমকে বলেন, পুরো দোকানপাট রঙ করে ধুয়ে- মুছে আমরা অপেক্ষা করছি পহেলা বৈশাখের
জন্য। ইতোমধ্যে অনেকেই হালখাতার কাজ শেষ করে ফেলেছে বলেও জানান বর্ধন।বছরের শেষ দিনটিতে আজ চৈত্র সংক্রান্তির মেলা ও নানা পর্ব মনে করিয়ে দিচ্ছে নতুন বছর দোরগোড়ায়। সাদর আমন্ত্রণে মাঙ্গলিক চিন্তা ও
শুভবোধের
উদ্বোধনে হৃদয়সিক্ত প্রাপ্তির ডালিতে নতুনের অভিষেকের দিন পহেলা বৈশাখ কাল। শুভ হালখাতা, মেলা, গান- বাজনা, প্রদর্শনী ইত্যকার নানা আয়োজনে বাঙালি তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির সম্ভারে উদযাপন করবে এ দিনটি। চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে লোকমেলার
আয়োজন গ্রাম-গঞ্জেই হয় বেশি। মেলা, গান, বাজনা ও যাত্রাপালাসহ
নানা আয়োজনে উঠে আসে লোকজসংস্কৃতির
নানা সম্ভার। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মেতে ওঠে পুজো অর্চনায়।
তবে সূর্যের কৃপা প্রার্থনায় কৃষককুল চৈত্রজুড়েই পালন করে প্রার্থনা উৎসবের। বিশেষ করে হিন্দুরা আয়োজন করেছে চড়ক পুজোর।
এদিকে, চৈত্র সংক্রান্তির উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় আয়োজন রবীন্দ্র
সঙ্গীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার
প্রতিষ্ঠান ‘সুরের ধারা’ ও চ্যানেল আই। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের উন্মুক্ত প্রান্তরে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাতাবদ্যি চলবে চৈত্র
সংক্রান্তির আয়োজন। এছাড়াও বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।চলছে বর্ষবরণের প্রস্তুতি
গত বছরের যত হতাশা_ক্লান্তি, অপ্রাপ্তি-বেদনা ও হাহাকারের পালা সাঙ্গ করে নতুন বছর নতুন উদ্দীপনা এবং নতুন আমেজ নিয়ে হবে উপস্থিত। যেন নব আনন্দে স্বপ্নের ডাক দিচ্ছে পরবর্তী বছর। বহুমুখী লোকাচার ও দেশজ সংস্কৃতির বর্ণিল উৎসব আয়োজনে বাঙালি এখন প্রস্তুত
নববর্ষ আহ্বানের জন্য। এদিকে বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক,
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের
প্রস্তুতি এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। ছায়ানট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদসহ সংশ্লিষ্টরা বর্ষবরণের জন্য এবার গ্রহণ করেছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
বাংলা নববর্ষকে বরণের জন্য রাজধানী ঢাকার অন্যতম প্রধান
আয়োজন ছায়ানটের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। রমনা বটমূলে গতকাল শেষ হয়েছে মঞ্চ নির্মাণ। শুরু হয়েছে মঞ্চ সাজানো। গত মাস থেকে শুরু হয়েছিল ছায়ানটের
সাংস্কৃৃতিক অনুষ্ঠানের মহড়া। গতকাল ছায়ানট ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে চূড়ান্ত মহড়া। অনুষ্ঠানের সব গ্রুপ গতকাল একসঙ্গে মহড়ায় অংশ নেন। ছায়ানট কর্তৃপক্ষ জানায়, মোট ১৩৭ জন শিল্পী এবারের বর্ষবরণের উৎসবে অংশ নিচ্ছে।
পহেলা বৈশাখের অন্যতম বড় আকর্ষণ হচ্ছে_ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা শিক্ষার্থীদের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রা। ‘রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ/ মুক্তিযুদ্ধ অনিঃশেষ’ সস্নোগান নিয়ে রোববার সকাল ৯টায়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে বের হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। এর নেতৃত্ব দেবেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের কারণে এবারের
শোভাযাত্রার রুট খানিকটা পরিবর্তন করা হয়েছে। শোভাযাত্রাটি চারুকলার সামনে থেকে শুরু হবে। টিএসসি, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট হয়ে পুনরায় চারুকলায় এসে শেষ হবে শোভাযাত্রাটি।
মঙ্গল
শোভাযাত্রাটি সফলভাবে আয়োজন
করার জন্য ১৭ মার্চ দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। আজ সন্ধ্যার মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আনা হবে।
বরাবরের মতো লোকজ ধারার শিল্পকর্ম
থাকবে শোভাযাত্রাজুড়ে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে তুলে ধরা হচ্ছে যুদ্ধাপরাধ
বিচার প্রসঙ্গটি। আর এই বিষয়টি ফুটিয়ে তুলতে বিরাট
এক সরীসৃপের মাথায় থাকছে যুদ্ধাপরাধীর ভয়ঙ্কর মুখ। প্রায় ৬৫ ফুট দীর্ঘ সরীসৃপাকৃতি এই শিল্পকর্মটি অশুভ শক্তির প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হবে। ‘বিদ্রোহী ষাড়’ শিরোনামে শিল্পকর্মে তুলে ধরা হবে জনতার
প্রতীক হিসেবে। দেশের চলমান অস্থিরতা এবং অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে জনতার সোচ্চার প্রতিবাদ হিসেবে এই শিল্পকর্ম তৈরি করা হয়েছে। ১৫ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট ‘শান্তির পায়রা’ শিল্পকর্মে তুলে ধরা হবে দেশের
মানুষ শান্তি চায়, কোনো হানাহানি নয়। শোভাযাত্রায় থাকছে যশোর- ঝিনাইদহের লোকজ ফর্মের শিল্পকর্ম ‘শোলার জোড়াপাখি’। এই শিল্পকর্মটি অসাম্প্রদায়িক
ও রাজনৈতিক দ্বিধা-দ্বন্দ্ব পরিহার করে শান্তির পথে আসার আহ্বান করা হবে। থাকবে মুষ্টিবদ্ধ হাত, বিদ্রোহের শিল্পকর্ম। মূলত এটি শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের
প্রতীক।
শোভাযাত্রা থাকবে ১২টি টাট্টু
ঘোড়া। আরো থাকছে বড়- ছোটো প্রায় ১০০টি মুখোশ। মুখোশে তুলে ধরা হবে রাজা- রানী, উজির-নাজির, লক্ষ্মীপ্যাঁচা, খরগোশ, বাংলার বাঘ, ধূর্ত শেয়ালের প্রতীক। শোভাযাত্রায় যাতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির
ঘটনা না ঘটে সেজন্য থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এ ছাড়া বরাবরের মতো এবারো চারুকলা অনুষদের সামনে দেয়ালে অাঁকা হবে চিত্রকর্ম।
দু’জন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে চিত্রকর্ম অাঁকছেন ৫ জন শিক্ষার্থী। দু’জন শিক্ষক হলেন_ প্রাচ্যকলা বিভাগের শিক্ষক গুপু ত্রিবেদী ও পেইন্টিং বিভাগের শিক্ষক আবদুস সাত্তার তৌফিক। শিক্ষার্থীরা হলেন_ রত্ন, অমিত, জ্যোতি, মারমা ও সুফিয়ান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শুরু হয়েছে চিত্রকর্ম অাঁকা।
এসব আয়োজনের পাশাপাশি রমনা বটমূলে পান্তা-
ইলিশের স্টল দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের
ছাত্রছাত্রীদের
মধ্যে এখনো চলছে অঘোষিত প্রতিযোগিতা। এ ছাড়াও চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে রাজধানীতে আয়োজিত
হতে যাচ্ছে নানা অনুষ্ঠান।

Sunday, March 10, 2013

আল্লাহু আকবার !! সবাই পড়ুন & শেয়ার করুন প্লিজ !! পঙ্গপালের আক্রমণে বিপর্যস্ত ইসরাইল : বাইবেল ও কোরআনের বাণী অনুসারে খোদার গজব?

এ এক অবিশ্বাস্য ও বিরল ঘটনা। ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল মিসর
থেকে ইসরাইলি ভূখণ্ডে আক্রমণ চালিয়েছে। সংখ্যায়
এরা কোটি কোটি। পঙ্গপালের আক্রমণে পৃথিবীর অন্যতম উন্নত
এই রাষ্ট্রটি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পঙ্গপালের
আক্রমণে ফসলের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই
ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যে স্থল ও বিমান থেকে কীটনাশক
প্রয়োগ করতে হচ্ছে।
একে বাইবেল ও কোরআনে বর্ণিত খোদার গজব হিসেবে দেখছেন
ইহুদি পণ্ডিতরা। পঙ্গপালের হাত থেকে পরিত্রাণ
পেতে প্রার্থনা করার জন্য তারা দেশবাসীকে আহ্বান
জানিয়েছেন।
নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, তিন সপ্তাহ ধরে মিসর সীমান্ত
থেকে ইসরাইলি ভূখণ্ডে ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল অনুপ্রবেশ করছে।
এগুলোকে বাইবেলে বর্ণিত খোদার গজব হিসেবে দেখছেন
ইসরাইলিরা। ফেরাউনের ওপর গজব হিসেবে পঙ্গপালের
আক্রমণ হয়েছিল। কোরআনেও পঙ্গপালের আক্রমণ
সম্পর্কে হুশিয়ার করে দেয়া হয়েছে।
প্রথমবারের মতো সোমবার ইসরাইল পঙ্গপালের আক্রমণ
সতর্কতা জারি করে। এ সময় কায়রো থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল
ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলীয় নেগেভ মরুভূমিতে অনুপ্রবেশ শুরু
করে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা সতর্ক করে বলেছে,
বাতাস ও জলবায়ুর পরিবর্তিত অবস্থার কারণে পঙ্গপালের
আন্তঃসীমান্ত অনুপ্রবেশ বেড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দেয়ার
জন্য ইসরাইল পঙ্গপালের বিরুদ্ধে রণপ্রস্তুতি নিয়েছে। শরু
হয়েছে স্থল ও বিমান হামলা। পঙ্গপালের
গতিবিধি সম্পর্কে জানানোর জন্য খোলা হয়েছে হটলাইন।
ইসরাইলের কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০০৫ সালের পর এই
প্রথম ইসরাইলে পঙ্গপালের আক্রমণ হলো। তবে এবার
যেভাবে হামলা হয়েছে ১৯৫০ এর দশকের পর এরকম হামলা আর
হয়নি।
হজরত মুসার (আ.) আমলেও পঙ্গপালের আক্রমণ হয়েছিল।
ইহুদিদের অবকাশ দিবসে মিসরের দাসত্ব থেকে ইসরাইলের
মুক্তির কাহিনী প্রচার করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, হজরত মুসার
বাণী মানতে অস্বীকার করলে ফেরাউনের ওপর
১০টি মহামারী নাজিল হয়েছিল। এর একটি ছিল পঙ্গপালের
আক্রমণ। সে সময় পূর্ব দিক থেকে বাতাসের সঙ্গে এসেছিল
ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল। তারা মিসরের শস্যক্ষেত্রে আক্রমণ
করেছিল। কোরআনেও পঙ্গপালের বর্ণনা রয়েছে।
ইসরাইলি অনলাইন সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট জানিয়েছে,
পঙ্গপালের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে দেশবাসীকে প্রার্থনার
জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ইসরাইলের সুপরিচিত ধর্মযাজক
এলিজার সিমচা ওয়েইস। এক চিঠিতে তিনি কৃষকদের
প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বলেছেন, তারা যেন
প্রার্থনা করে ইসরাইলে যেন আর কোনো পঙ্গপালের অনুপ্রবেশ
না হয়।

২০ হাজার টাকা ব্যয়ে কাতারে জনশক্তি রফতানি!

জেলা সংবাদাতা :
নামমাত্র ব্যয়ে কাতারে অভিবাসনের সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। মাত্র ২০ হাজার টাকায় কাতারে যেতে পারবে বাংলাদেশি শ্রমিকরা। আগামী ৩ মাসের মধ্যে এবিষয়ে বাংলাদেশের প্রস্তাবের অনুস্বাক্ষর করবে কাতার। দক্ষিণ কোরিয়া এবং মালয়েশিয়ার পর 'জি টু জি' প্রক্রিয়ায় তৃতীয় দেশ হিসেবে কাতার বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিবে। এতে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি অভিবাসন ব্যয় কল্পানাতীতভাবে হ্রাস পাবে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব জাফর আহমেদ খান গতকাল দৈনিক ডেসটিনিকে জানান, আগামী মাস থেকে 'জি টু জি' প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ায় যাওয়া শুরু করবে বাংলাদেশি শ্রমিকরা। ইতিমধ্যে তারা প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেছে। পর্যায়ক্রমে মালয়েশিয়ায় ১১ হাজার শ্রমিক যাবে। পরবর্তীতে একই নিয়মে লটারি করে মালয়েশিয়ায় ৫ লাখ কর্ম পাঠানো হবে। সরকারিভাবে জনশক্তি রফতানি সফল হওয়ার পর যথাযথ নীতি মানলে বেসরকারি রিক্রুটিং

এজেন্সিরাও জনশক্তি রফতানি করতে পারবে।
সচিব জানান, কোরিয়া এবং মালয়েশিয়ার পর এবার মাত্র ২০ হাজার টাকা খরচ করে কাতারেও জনশক্তি রফতানি করবে বাংলাদেশ। এবিষয়ে ইতিমধ্যে কাতারের সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষর করা হয়েছে। আগামী ৩ মাসের মধ্যে কাতার সরকার এবিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত তাদের গাইডলাইন দিবে। বাংলাদেশের শ্রমিকদের বেতন সর্বনিম্ন কত হবে? থাকা খাওয়ার খরচ ও আনুষঙ্গিক শর্তাবলী কাতার সরকার নীতিগতভাবে গ্রহণ করেছে বলে জানাগেছে। আগামী ৩ মাসের মধ্যে তাদের চূড়ান্ত চাহিদা ও প্রস্তাবনা পওয়া যাবে। এর পরেই কাতারে জনশক্তি নিয়োগের জন্য সারাদেশ থেকে লটারির মাধ্যমে কাতারের জন্য শ্রমিক নির্বাচন করা হবে।
সূত্র আরো জানায় কাতারে বর্তমানে ২ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছে। গতবছরও সেদেশে ২০ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক রফতানি করা হয়েছে। গত অর্থ বছরে কাতার থেকে ৩২৫ দশমিক ২৬ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। চলতি অর্থ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৮০ মিলিয়ন ডলার। এ অবস্থায় মাত্র ২০ হাজার টাকায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় কাতারে জনশক্তি রফতানি করতে পারলে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরো বৃদ্ধি পাবে।