ব্যস্ততার জন্য একটু আয়েশ করে ঘুমানোর ফুরসৎ
পান না আপনি। এতই ব্যস্ত হয়ে ওঠেন যে কোন কোন দিন মাত্র দু’/তিন ঘণ্টা
ঘুমিয়েই কাজে বেরিয়েপড়েন। কিন্তু এ ব্যাপারে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন
যুক্তরাজ্যের গবেষকরা। তারা বলেছেন,
যথেষ্ট পরিমাণ ঘুমাতে না পারলে কাজ করার ক্ষেত্রে শরীরের স্বাভাবিক সক্ষমতা
নষ্ট হতে থাকে। ভেঙে পড়ে স্বাস্থ্য। শরীরের গঠনেও আসে নাটকীয়
পরিবর্তন।ইউনিভার্সিটি অব সুরি’র গবেষকরা জানান, সপ্তাহে দৈনিক কমপক্ষে ছয়
ঘণ্টার কম ঘুমালে শরীরের কয়েকশ’ জিনের স্বাভাবিক কার্যপ্রণালীতে নাটকীয়
পরিবর্তন ঘটে। ‘প্রসিডিং অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সাইন্সেস’ এর একটি
জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় তারা ব্যাখ্যা করে দেখিয়েছেন, চাহিদানুযায়ী
কম ঘুমালে স্বাস্থ্যের ক্ষতিহয়। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, অপর্যাপ্ত ঘুম
হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, স্থুলতাবৃদ্ধি ওমস্তিষ্কের কার্যপ্রণালীর ব্যাপক
ক্ষতি করে। এক সপ্তাহে দৈনিক কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা করে ঘুমানো ২৬ ব্যক্তির
স্বাস্থ্যের সঙ্গে এক সপ্তাহে ছয় ঘণ্টার কম ঘুমানো ব্যক্তির স্বাস্থ্যের
তুলনা করে গবেষকরা দেখেছেন, কম ঘুমানো ব্যক্তির শরীরের সাতশ’রও বেশি জিনের
স্বাভাবিক কার্যপ্রণালীতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। শরীরে প্রোটিন তৈরির
কাজে নিয়োজিতএসব জিনগুলোর অস্বাভাবিক পরিবর্তন শারীরিক রসায়নকে
ক্ষতিগ্রস্থ করে স্বাস্থ্যহানি ঘটিয়েছে। গবেষণা দলের প্রধান ও
ইউনিভার্সিটি অব সুরি’র অধ্যাপক কলিন স্মিথ বলেন, “অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে
বিভিন্ন ধরনের জিনের কার্যক্ষেত্রে নাটকীয় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।”
স্মিথ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “এসব জিনের অস্বাভাবিক পরিবর্তন শরীরের
প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলে শরীরের অন্যান্য
অংশের কার্যনিয়মে।” পর্যাপ্ত ঘুম যেকোনো কাজে মনযোগী হতে সহায়তা করে
উল্লেখ করে স্মিথ পরামর্শ দিয়ে বলেন, “যেহেতু পরিষ্কার ঘুম শরীরে ইতিবাচক
প্রভাব ফেলে সেহেতু পর্যাপ্ত ঘুমের দিকেই আমাদেরনজর দেওয়া উচিত।”

No comments:
Post a Comment