ব্লগার
রাজীব হত্যার অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর। বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে
পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে
সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতারা ব্লগার
আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যাকাণ্ডের বিচার, ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক
মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার, সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি
হত্যাকাণ্ডের বিচারসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক
করেন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে পল্লবী থানার পলাশ নগর এলাকায়
রাজীবকে তার বাসার সামনে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
১৬ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আর সুষ্ঠুতদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারীদের
দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ওইদিন তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ড যারাই ঘটাক দ্রুত তাদের খুঁজে বের করে হত্যারহস্য উদঘাটন করা হবে।
নিহত রাজীবের মরদেহের ময়নাতদন্তে তার শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ৭টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানান চিকিৎসকরা।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজীব হত্যা ঘটনায় অজ্ঞাতনামাবেশ কয়েকজনকে আসামি করে
পল্লবী থানায় তার বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ওই সময়ই জিজ্ঞাসাবাদের
জন্য ৪ জনকে আটক করে পুলিশ।
আহমেদ রাজীব হায়দার পেশায় স্থপতি ও
পাশাপাশি ব্লগে লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ব্লগার হিসেবে খ্যাতিও
পেয়েছিলেন। জামাত-শিবিরের বিরুদ্ধে তার অবস্থান ছিল সোচ্চার।
শাহবাগ
প্রজন্ম চত্বরে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গণজাগরণের যে
আন্দোলন গড়ে উঠেছে এর অন্যতম কর্মী ছিলেন রাজিব। ওনলাইনে সামাজিকমিডিয়াতে
লেখালেখিতে কর্মীদের যোগাতেন অনুপ্রেরণা তিনি।
No comments:
Post a Comment