বড়লেখা প্রতিনিধি:- বড়লেখায় পুলিশের গুলিতে নিহত শিবির কর্মী
লোকমান হোসেনের জানাজায় সহস্রাধিকমানুষ অংশ নেন। গতকাল ০১ মার্চ শুক্রবার
বিকেল সাড়ে ৫টায় রতুলীস্থ স্থানীয় মাদ্রাসা মাঠে
জানাজার নামাজ শেষে সার্বজনীন গোরস্থানে দাফন করা হয়। তাওহীদি জনতার
উদ্যোগে বড়লেখা উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী ফয়ছল আহমদের উপস্থাপনায়
জানাজাপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের আঞ্চলিক টিমের সদস্য দেওয়ান
সিরাজুল ইসলাম, মৌলভীবাজার জেলা আমীরআব্দুল মান্নান, সেক্রেটারী
ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলী, নিহতলোকমানের পিতা আব্দুল মান্নান, সিলেট মহানগরী
জামায়াতের নায়েবে আমীর ডাঃ ছায়েফ আহমদ, সিলেট মহানগরী জামায়াতের আমীর
মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, বড়লেখা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা
এমাদুল ইসলাম, জামায়াত নেতামাওঃ আমিনুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সভাপতি
আব্দুল হাফিজ, সুজাউল ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ ফয়জুর রহমান,
মৌলভীবাজার জেলা শিবিরের সভাপতি কবির আহমদ, ছাত্রনেতা আবুল উদ্দিন, বিএনপি
নেতা মুজিবুররাজা চৌধুরী প্রমুখ। এছাড়াও সিলেট, জেলা ও অন্যান্য উপজেলার
নেতৃবৃন্দবক্তব্য রাখেন। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকেই বিভিন্ন
স্থান থেকে উপজেলার রতুলীস্থ গাংকুল মনসুরিয়া ফাযিল মাদ্রাসা মাঠে জড়ো
হতে থাকেন। জানাজার আগ-মুহূর্ত পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে জানাজাস্থল।
এ সময় বিজিবি, পুলিশ, আনসার-ভিডিপির সদস্যরা কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করেন।
আর এ কড়া নিরাত্তার মধ্য দিয়েই নিহত লোকমান হোসেনের জানাজার নামাজ
অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাকে সার্বজনীন গোরস্থানে দাফন করা হয়। প্রসঙ্গত, গত
বৃহস্পতিবার দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদ-রায় ঘোষণার পর থেকেই বড়লেখা
উপজেলার দক্ষিণভাগ, কাঁঠালতলী বাজারে তাওহিদী জনতা লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তা
অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। মিছিল নিয়ে শহরে যাওয়ার সময় কাঁঠালতলী
এলাকায় পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ হলে পুলিশের নির্বিচার গুলিতে নিহত হয়
নিরপরাধ লোকমান হোসেন (১৪)। এসময় ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় অন্তত ৪০ জন
ব্যক্তি। এদিকে দক্ষিণভাগ, রতুলীসহ পৌর শহরে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা জোরদারে বিজিবি সদস্যদের মোতায়েন রাখা হয়েছে।
এখনও দক্ষিণভাগ, রতুলী, কাঁঠালতলী বাজারের বেশিরভাগ ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানবন্ধ
রয়েছে। লোকজনের চলাফেরা খুব একটা নেই। এলাকার লোকজনের মাঝে এখনও আতংক
কাটেনি।

No comments:
Post a Comment